Sunday, February 18, 2018

কবুতর খামারের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপন - Disease prevention management at Pigeons farm

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনাঃ


Pigeon Farm - কবুতরের খামার
Pigeon Farm - কবুতরের খামার




খামার হতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার এবং রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

১। কবুতর উঠানোর আগে খামারসহ ব্যবহার্য্য সকল যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রথমে পানি দিয়ে পানির সাথে কার্যকরী জীবানুনাশক (০.২-০.৫% সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড বা আয়োডিন দ্রবণ) মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

২। সুস্থ্য সবল কবুতর সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে বাহ্যিক পরজীবি নিধনের জন্য ০.৫% ম্যালাথিয়ন দ্রবণে কবুতরকে গোসল করিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কবুতরের মুখ এই দ্রবণে ডুবানো যাবে না। হাত দিয়ে মাথায় লাগিয়ে দিতে হবে। অন্তঃপরজীবি প্রতিরোধের জন্য কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করাতে হবে।

৩। কবুতরের খোপ, দানাদার খাদ্য ও খনিজ মিশ্রণ সরবরাহের পাত্র, পানির পাত্র ও গোসল করার পাত্র এবং কবুতর বসার স্ট্যান্ড নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জীবাণুমুক্ত খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।

৪। খামারে মানুষের এবং বন্য পাখি ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণী যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিবার খামারে প্রবেশ করার পূর্বে এবং খামার হতে বাহির হওয়ার সময় হাত ও পা অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৫। কোন কবুতর অসুস্থ হলে দ্রুত আলাদা করে ফেলতে হবে। অসুস্থ বা মৃত কবুতর এর রোগের কারণ জেনে অন্যান্য জীবিত কবুতরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

টিকা প্রদানঃ


খামারে রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কবুতরের প্রজননকালীন সময়ে প্যারেন্ট কবুতর গুলোকে রাণীক্ষেত রোগের মৃত টিকা প্রয়োগ করা উত্তম। টিকা প্রয়োগের কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ পর বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিম সংগ্রহ করতে হবে। তবে বাচ্চা কবুতর উড়তে শেখার সাথে সাথেও টিকা প্রয়োগ করা যায়। জীবিত বা মৃত উভয় টিকাই প্রয়োগ করা যায়। জীবিত টিকা চোখে এবং মৃত টিকা চামড়ার নীচে বা মাংসপেশীতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম টিকা (জীবিত) প্রয়োগের কমপক্ষে ১৪ দিন পর দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ দিতে হবে।


কবুতরের রোগ বালাইঃ

বিভিন্ন প্রকার রোগ জীবাণু দ্বারা কবুতর আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত খাদ্য এবং পানির মাধ্যমে জীবাণু কবুতরের দেহে প্রবেশ করে। তাছাড়া অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডাজনিত পীড়নের কারণেও অনেক সময় কবুতর দূর্বল ও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। কবুতরের সংক্রামক রোগ এবং ছত্রাকজনিত রোগ এছাড়া ভিটামিন বা খনিজ লবণের অভাব জনিত রোগ, বদহজম জনিত সমস্যা, গেঁটেবাত, অন্তঃপরজীবি যেমন কৃমি এবং বাহ্যিক পরজীবি যেমনঃ মাছি, উকুন ইত্যাদি দ্বারাও কবুতর আক্রান্ত হতে পারে।

রাণীক্ষেতঃ এ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কবুতর থেকে সুস্থ কবুতরে এ রোগের জীবাণুর বিস্তার ঘটে। এ রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। সবুজ ডায়রিয়া এবং প্যারালাইসিস ইত্যাদি এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। কবুতরকে জীবিত বা মৃত টিকা প্রয়োগ এবং খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিসঅসুস্থ কবুতরের বমির সাহায্যে এ সংক্রামক রোগ খামারের অন্যান্য সুস্থ কবুতরে বিস্তার লাভ করে। এ রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৪০-১০০ ভাগ। দূর্গন্ধযুক্ত বাদামী বা সবুজ ডায়রিয়া, ঝিমানো, খাবারে অনীহা, শুকিয়ে যাওয়া, বমি করা এবং হঠাৎ মারা যাওয়া ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। এ রোগের কোন চিকিৎসা না থাকার দরুণ আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে ফেলাই রোগের বিস্তার রোধ এবং প্রতিরোধের প্রধান উপায়।

বসন্তঃ সাধারণত শরীরের পালকবিহীন অংশ যেমন- চোখ বা মুখের চারিদিক, পা ইত্যাদি জায়গায় এ রোগের ফোষ্কা বা গুটি দেখা যায়। আক্রান্ত কবুতরের চোখের পাতা ও চোখ ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়, (conjunctivitis) এবং পানি পড়ে। আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে উৎপনড়ব হওয়া ফোষ্কা বা গুটিগুলোকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার করে আয়োডিন যৌগ যেমনপভিতে সপ বা আয়োসান দিয়ে মুছে দিতে হবে। কোন চিকিৎসা না থাকার দরুণ খামারের জৈবনিরাপত্তা রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়।

সালমোনেলোসিসঃ আক্রান্ত পিতামাতা থেকে ডিমের মাধ্যমে এবং খাবার, পানি, খামারে ব্যবহৃত বিভিনড়ব যন্ত্রপাতি, কর্মরত শ্রমিক ও আগত অন্যান্য লোকজন, খাদ্য সরবরাহের গাড়ি, বন্যপ্রাণী যেমন ইদুঁর ইত্যাদির মাধ্যমে খামারে এ সংক্রমক রোগের প্রাদূর্ভাব ঘটে। শতকরা ৫-৫০ বা তারও বেশী কবুতর আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত কবুতরের ডায়রিয়া, শুকিয়ে যাওয়া, পা এবং পাখায় প্যারালাইসিস এবং ডিম পাড়ার সমস্যা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। আক্রান্ত কবুতর খামার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

এসপারজিলোসিসঃ আক্রান্ত কবুতর থেকে শ্বাস প্রশ্বাস মাধ্যমে সুস্থ কবুতর আক্রান্ত হতে পারে। এ ছত্রাকজনিত রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। শ্বাস কষ্ট, ঝিমানো, শুকিয়ে যাওয়া, খাবারের প্রতি অনীহা, ওজন কমে যাওয়া এবং ঘন ঘন পিপাসা পাওয়া ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। কার্যকরী ছত্রাক বিরোধী ঔষধ যেমন Amphotericine দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত কবুতর খামার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং খামারের জৈবনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

রক্ত আমাশয়ঃ বিভিন্ন প্রজাতির প্রটোজোয়া দ্বারা এ রোগ হতে পারে। সংক্রামিত খাবার, পানি বা লিটার থেকে মুখের মাধ্যমে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। রক্ত মিশ্রিত ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্ধা এবং ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি এ রোগের প্রধান লক্ষণ। রোগ প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত কবুতর কার্যকরী জীবাণুনাশক দিয়ে শেড ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে এবং কঠোর জৈবনিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।

ক্যাঙ্কারঃ আক্রান্ত বয়ষ্ক পিতামাতা কবুতর থেকে দুধের মাধ্যমে বাচ্চায় প্রটোজোয়া এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। আক্রান্ত জীবিত কবুতর সারাজীবন এ রোগের জীবাণু বহন করে। মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। আক্রান্ত  কবুতর অস্থির থাকে, পাখা উশকু-খুশকু হয়ে যায়, খাদ্য গ্রহণ কমে যায় এবং ধীরে ধীরে শুকিয়ে মারা যায়। আক্রান্ত কবুতরের মুখের চারিদিকে সবুজাভ বা হলুদ লালা লেগে থাকে। আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। এই রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।


কবুতরের প্রয়োজনীয় খাবার - Best Foods for Pigeons

কবুতর পালন

Pigeons Food


খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ

বাচ্চা ফোটার ৪-৫ দিন পর কবুতরের বাচ্চার চোখ ফোটে। ফলে বাচ্চাগুলো কোন দানাদার খাদ্য গ্রহণ করতে পারেনা। এসময় স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর তাদের পাকস্থলী (ক্রপ) থেকে ঘন ক্রীম বা দধির মত নিঃসরণ করে যাকে কবুতরের দুধ বলে। এ দুধ অধিক আমিষ, চর্বি এবং খনিজ লবণ সমৃদ্ধ যা এক সপ্তাহ পর্যন্ত খেতে পারে। বাচ্চাগুলো নিজে খাদ্য গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর উভয়ে দানাদার খাদ্যের সাথে দুধ মিশিয়ে ঠোঁট দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ায়।
  • কবুতরের জন্য তৈরীকৃত খাদ্য শর্করা, আমিষ, খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন, চর্বি এবং খনিজ লবণ সমপন্ন সুষম খাদ্য হতে হবে। কবুতর ম্যাশ বা পাউডার খাদ্যের তুলনায় দানাদার জাতীয় খাদ্য বেশি পছন্দ করে।
  • ছোট আকারের কবুতরের জন্য ২০-৩০ গ্রাম, মাঝারী আকারের জন্য ৩৫-৫০ গ্রাম এবং বড় আকারের জন্য ৫০-৬০ গ্রাম খাদ্য প্রতিদিন দিতে হবে। দানাদার জাতীয় খাদ্যের মধ্যে গম, ধান, ভূট্টা, সরগম, ওট শতকরা ৬০ ভাগ এবং লেগুমিনাস বা ডাল জাতীয় খাদ্যের মধ্যে সরিষা, খেসারী, মাটিকলাই শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ সরবরাহ করতে হবে।
  • কবুতরের ভিটামিন সররাহের জন্য বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন ছাড়া সবুজ শাকসবজি, কচি ঘাস সরবরাহ করা প্রয়োজন।
  • প্রতিদিন ২ বার খাদ্য সরবরাহ করা ভাল। মাঝে মাঝে পাথর, ইটের কণা (গ্রিট) এবং কাঁচা হলুদের টুকরা দেয়া উচিৎ কারণ এ গ্রিট পাকস্থলীতে খাবার ভাঙতে এবং হলুদ পাকস্থলী পরিষ্কার বা জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
  • কবুতরের ডিম দেয়ার সময় গ্রিট মিশ্রণ বা খনিজ মিশ্রণ, ডিম এবং ডিমের খোসা তৈরী এবং ভাল হ্যাচাবিলিটির জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। এই খনিজ মিশ্রণ বোন মিল (সিদ্ধ) ৫%, ঝিনুক ৪০%, লাইম স্টোন ৩৫%, গ্রাউন্ড লাইম স্টোন ৫%, লবণ ৪%, চারকোল ১০% এবং শিয়ান রেড ১% তৈরী করতে হবে  ।


পানি সরবরাহঃ

প্রতিদিন গভীর বা খাদ জাতীয় পানির পাত্র ভালভাবে পরিষ্কার করে ৩ বার পরিষ্কার পরিচছন্ন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা উচিত। দুই সপ্তাহ পর পর পটাশ মিশ্রিত পানি সরবরাহ করলে পাকস্থলী বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।



Pigeon Home Making Design Method-(কবুতরের ঘর নির্মানের পদ্ধতি)

House of Pigeon

কবুতরের বাসস্থানঃ

কবুতরের ঘর
কবুতরের ঘর


উত্তম নিষ্কাশন, পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বায়ুচলাচল আছে এরূপ উঁচু এবং বালুময় মাটিতে কবুতরের ঘর করতে হবে, যা খামারীর আবাসস্থল থেকে ২০০-৩০০ ফুট দুরে এবং দক্ষিণমূখী হওয়া উচিত। মাটি থেকে ঘরের উচ্চতা ২০-২৪ ফুট এবং খাচার উচ্চতা ৮-১০ফুট হওয়া ভাল। একটি খামারের জন্য ৩০-৪০ জোড়া কবুতর আদর্শ। এরূপ ঘরের মাপ হবে ৯ ফুট ৮.৫ ফুট। কবুতরের খোপ ২-৩ তলা বিশিষ্ট করা যায়। এরূপ খোপের আয়তন প্রতিজোড়া ছোট আকারের কবুতরের জন্য ৩০ সে. মি.x ৩০ সে.মি.x ২০ সে.মি. এবং বড় আকারের কবুতরের  জন্য ৫০ সে. মি.x ৫৫ সে.মি. x৩০ সে.মি.। ঘর স্বল্প খরচে সহজে তৈরী এবং স্থানান্তরযোগ্য যা কাঠ, টিন, বাঁশ, খড় ইত্যাদি দিয়ে তৈরী করা যায়। খামারের ভিতরে নরম, শুষ্ক খড়-কুটা রেখে দিলে তারা ঠোঁটে করে নিয়ে নিজেরাই বাসা তৈরী করে নেয়। ডিম পাড়ার বাসা তৈরীর জন্য ধানের খড়, শুকনো ঘাস, কচি ঘাসের ডগাজাতীয় দ্রব্যাদি উত্তম। খোপের ভিতর মাটির সরা বসিয়ে রাখলে কবুতর সরাতে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফুটায়।


কবুতরের ঘর
কবুতরের ঘর
ঘর তৈরির ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়ঃ




  1. ঘরের মধ্যে জেনো পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসা যাওয়া করতে পারে।
  2. ঘরের মধ্যে এমন কোন ফাকা জায়গা না থাকে যেখান থেকে ইঁদুর বেঁজি ইত্যাদি প্রাণী ঢুঁকে কবুতরের ক্ষতি করতে পারে।
  3. একটু বড় করে খোপ তৈরি করা যাতে কবুতর বাহীরে মিলন করতে সমস্যা হলে খোপের ভিতরেই মিলন করতে পারে। এতে করে আপনার প্রডাকশন বৃদ্ধি পাবে।


(কবুতরের প্রজনন, ডিম উৎপাদন ও ডিম ফুটানো)pigeon egg development

কবুতরের প্রজনন, ডিম উৎপাদন ও ডিম ফুটানো




হাঁস-মুরগির মতো যে কোনো মর্দা কবুতর মাদী কবুতরের সাথে হজে জোড়া বাঁধে না। এদেরকে এক সাথে এক সপ্তাহ রাখলে জোড়া বাঁধে। মুরগীর ন্যায় কবুতরের জননতন্ত্রে ডিম উৎপন্ন হয়। তবে ডিম্বাশয়ে একসাথে সাধারণত মাত্র দু’টি ফলিকুল তৈরি হয়।
এ কারণে প্রতিটি মাদী কবুতর দু’টি ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার ৪০-৪৪ ঘন্টা পূর্বে ডিম্ব স্খলন হয় এবং ডিম পাড়ার কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পূর্বে তা নিষিক্ত হয়। অর্থাৎ যে ১৬-২০ ঘন্টা পর্যন্ত ডিম ডিম্বনালীতে থাকে সে সময়ে তা নিষিক্ত হয়ে থাকে।


ডিম পাড়ার পর থেকে মর্দা ও মাদী উভয় কবুতর পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দিতে শুরু করে। মাদী কবুতর প্রায় বিকেল থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ডিমে তা দেয় এবং বাকী সময়টুকু অর্থাৎ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মর্দা কবুতর তা দিয়ে থাকে। তা দেয়ার পঞ্চম দিনেই ডিম পরীক্ষা করে উর্বর বা অনুর্বর ডিম চেনা যায়। বাতির সামনে ধরলে উর্বর ডিমের ভিতর রক্তনালী দেখা যায়। কিন্তু অনুর্বর ডিমের ক্ষেত্রে ডিমের ভিতর স্বচ্ছ দেখাবে। সাধারণত ডিম পাড়ার ১৭-১৮ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এভাবে একটি মাদী কবুতর সাধারণত ১২ মাসে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে। জন্মের প্রথম দিন থেকে ২৬ দিন বয়স পর্যন্ত কবুতরের বাচ্চার ক্রমবর্ধমান অবস্থা থাকে। প্রথমে সারা দেহ হলুদ পাতলা বর্ণের লোম দ্বারা আবৃত থাকে।


এই সময় নাক ও কানের ছিদ্র বেশ বড় দেখায়। প্রায় ৪-৫ দিন পর বাচ্চার চোখ খোলে বা ফুটে। পনের দিনে সমস্ত শরীর পালকে ছেয়ে যায়। প্রায় ১৯-২০ দিনে দু’টো ডানা এবং লেজ পূর্ণতা লাভ করে ও ঠোঁট স্বাভাবিক হয়। এই ভাবে ২৬-২৮ দিনে কবুতরের বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে। কবুতর সাধারণত ২০-৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।

Fancy Pigeon in Bangladesh (বাংলাদেশের ফেন্সি কবুতর)




Fancy Pigeon in Bangladesh

বাংলাদেশের ফেন্সি কবুতর

Fancy pigeon:

ফেন্সি কবুতর হল বিদেশি কবুতর। আমাদের দেশে অনেক  প্রজাতির কবুতর পাওয়া যায়। যেমনঃ

Bangladeshi Pigeon : 
  1. ঘোলা  কবুতর (Ghola Kobutor)।
  2. গিরিবাজ কবুতর।(Giribaj Kobutor).
  3. জালালি কবুতর। (Jalali Kobutor).
  4.     
    1. Ghola Kobutor


    3. Jalali Kobutor
    2. Giribaj Kobutor







    Fancy Pigeon: 

    Pigmy Pouter


    Pigmy Pouter



    Crested Helmet
    Crested Helmet



    German Beauty Homer
    German Beauty Homer



    red Carneau
    Red Carneau
    Danish Suabian
    Danish Suabian

    Fantail pigeon
    Fantail pigeon

    এছাড়াও আরো অনেক প্রজাতির কবুতর আমাদের দেশে পাওয়া যায় এবং তা পালন করে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন।

    জাত বা ধরন গুলো কোন নির্দিষ্ট কিছু নয়। বিভিন্ন রং, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, চোখ ইত্যাদি এর উপর ভিত্তি করে নামকরণ বা জাত ঠিক করা হয়। এছাড়া ক্রস ব্রিডিং -এর মাধ্যমেও নতুন জাত তৈরি হয়ে থাকে। সচরাচর লভ্য জাতগুলো হলোঃ
    • হোমার (উড়াল প্রতিযোগিতায় ব্যবহার হয়)- হোমিং পিজিয়ন থেকে
    • গোলা (দেশী কবুতর)
    • লাক্ষা (সৌখিন) - ভারত থেকে এসেছে
    • সিরাজী (সৌখিন ) - লাহোর নামে পাওয়া যায়
    • গিরিবাজ - (উড়ানোর জন্য বিখ্যাত)
    • কাগজি (সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো)
    • চিলা
    • গোররা (শরীর সাদা কালো মিশ্রণ, যেমন মাথা সাদা, পিঠ কালো, ডানা সাদা)
    • চুইনা (সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো নয়)
    • রান্ট
    • প্রিন্স
    • পটার
    • ফ্রিল ব্যাক
    • জ্যাকোবিন
    • স্ট্রেসার
    • মডেনা
    • মুসল দম (সমস্ত শরীর কালো কিন্তু দম বা লেজ গুলো সাদা)
    • নোটন (মাটিতে ডিগবাজি দেয়)
    • কিং


    আমরা এর প্রতিটির ডিটেইস আলোচনা করবো। 

      (কবুতরের গুরুত্বপূর্ণ রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ) Pigeon Diseases Treatment

      কবুতরের গুরুত্বপূর্ণ রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ:

      কবুতরের অনেক রোগ বালাই রয়েছে। আমরা তা নিম্নে ছক আঁকারে দেখালামঃ



      Key Of This Article:

      1. বিভিন্ন রোগ 
        1. সালমেনেলোসিস/ প্যারাটইফোসিস
        2. করাইজা অথবা আউল’স হেড
        3. মাইকোপ্লাজমোসিস
        4. ক্ল্যামাইডিওসিস অথবা অরনিথোসিস
        5. নিউক্যাসল অথবা প্যারামিক্সো ভাইরাস-১
        6. ডিফথেরো স্মল পক্স (বসন্ত রোগ)
        7. পরজীবী রোগ
      2. এমাইনো এসিড
      3. অপুষ্টিজনিত ও বিপাকীয় রোগসমূহ
        1. ভিটামিন এ এর ঘাটতি
        2. ভিটামিন ডি এর ঘাটতি
        3. ভিটামিন ই
        4. ভিটামিন কে
        5. ভিটামিন বি১
        6. ভিটামিন বি৬
        7. ভিটামিন বি২
        8. ফলিক এসিড
        9. ম্যানটোথেনিক এসিড
        10. বায়োটিন


      বিভিন্ন রোগ ও লক্ষন সাথে তার প্রতীকার সহ চিকিৎসাঃ

      রোগের নাম কারণ লক্ষণ চিকিৎসা প্রতিরোধ
      সালমেনেলোসিস/ প্যারাটইফোসিস সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম শ্লেষ্মাযুক্ত আঠালো, ফেনা ও দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া দেখা দেয়। দেহ ক্রমাগত শুকিয়ে যায়। ভারসাম্য হীনতা ও পক্ষাঘাত পরিলক্ষিত হয়। এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে। ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
      ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
      ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
      ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
      পাসটিউরেলা মালটোসিডা ডাইরিয়া, জ্বর (৮২-৮৩০ ঈ) কোন লক্ষণ ব্যতীত ২৪-৪৮ ঘন্টা মধ্যে কবুতর মারা যায় এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে। ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
      ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
      করাইজা অথবা আউল’স হেড হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা সর্দি, চোখের পাতাদ্বয় ফুলে প্যাঁচার মাথার ন্যায় দেখায়, অক্ষিঝিলি্ল প্রদাহের ফলে চোখ দিয়ে (muco-purulent) পদার্থ নির্গত হয়। এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে। ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
      ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
      মাইকোপ্লাজমোসিস মাইকোপ্লাজমা কলাম্বিনাম সর্দি, চোখ ও নাক দিয়ে প্রথমে পানি এবং পরে muco-purulent পদার্থ নির্গত হয়। মুখ ও কন্ঠ অত্যধিক প্রদাহে স্ফীত থাকে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। শ্বাসকষ্ট হয়। টিয়ামুলিন, টাইলোসিন এনরোফ্লুক্সসিন, স্পাইরামাইসিন, লিনকোমাইসিন গ্রুপের ঔষধ ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
      ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
      ক্ল্যামাইডিওসিস অথবা অরনিথোসিস ক্ল্যামাইডিয়া সিটাসি চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়ে, স্বাস্থ্যহানি ঘটে এবং রোগ ভোগের পর মরা যায় ক্লোরটেট্রাসাইক্লিন, টাইলোসিন, লিনকোমাইসিন, স্পাইরামাইসিন ইত্যাদি ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
      ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
      নিউক্যাসল অথবা প্যারামিক্সো ভাইরাস-১ প্যারামিক্সো ভাইরাস টাইপ-১ সবুজ রংয়ের ডায়রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, মুখ হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। ভারসাম্যহীনতা, মাথা ঘোরা, পাখা ও পায়ের পক্ষাঘাত ইত্যাদি। এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন, ইমিউনো স্টিমুলেটর * জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
      * টিকা প্রদান করতে হবে।
      ডিফথেরো স্মল পক্স (বসন্ত রোগ) বোরেলিয়া কলাম্বরী ভাইরাস পালকহীন ত্বক বিশেষ করে চোখ, ঠোঁটের চারপাশে এবং পায়ে ক্ষত বা পক্স দেখা যায় এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন এ এবং সি, ইমিউনো স্টিমুলেটর, টপিক্যাল আইওডিন * জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
      পরজীবী রোগ আইমেরিয়া, এসকারিস, ক্যাপিলারিয়া, ট্রাইকোমোনা দুর্বলতা, খাদ্য গ্রহণে অনীহা, শুকিয়ে যাওয়া, ডাইরিয়া (মলে রক্ত থাকে ককসিডিয়া), পুষ্টিহীনতা ও অবশেষে মৃত্যু ঘটে। কৃমিনাশক, ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স, এমাইনো এসিড * জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।

      অপুষ্টিজনিত ও বিপাকীয় রোগসমূহ



      ভিটামিন এ এর ঘাটতি দেহে ক্ষত হয়, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় এবং অক্ষিঝিলি্লর প্রদাহ দেখা দেয়, ক্ষুধা কমে যায়, দৈহিক বৃদ্ধি ও পালকের গঠণ ব্যাহত হয়, উৎপাদন ও হ্যাচাবিলিটি হ্রাস পায় ২০০ আই ইউ প্রতিদিনের প্রয়োজন নিয়মিত ভিটামিন, প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান অথবা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান করতে হবে।
      ভিটামিন ডি এর ঘাটতি অস্থি নরম ও বাঁকা হয়ে যায়, ডিম উৎপাদন ও হ্যাচাবিলিটি হ্রাস পায়, ডিমের খোলস পাতলা হয়। ৪৫ আই ইউ প্রতিদিনের প্রয়োজন ভিটামিন ডি ও মিনারেল প্রিমিক্স প্রদান, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার (কডলিভার অয়েল, ফিস মিল) প্রদান করতে হবে।
      ভিটামিন ই এনসেফালোম্যালাশিয়া রোগ হয়, পক্ষাঘাতের ফলে চলতে অসঙ্গতি দেখা দেয়। বুক ও পেটের নীচে তরল পদার্থ জমে, ইডিমা হয়। ডিমের উর্বরতা কমে যায়। ১ মিগ্রা সেলিনিয়াম সহ ভিটামিন ই প্রদান করতে হবে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার (শস্য দানা, গম, চাউলে কুড়া, শুটকি মাছ) খাওয়াতে হবে।
      ভিটামিন কে রক্তক্ষরণের কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। —— ভিটামিন কে প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান (সবুজ শাকসবজি ও মাছের গুঁড়া)।
      ভিটামিন বি১ পা, ডানা ও ঘাড়ে পক্ষাঘাত হয়। ঘাড়ের পক্ষাঘাতের ফলে ঘাড় পেছন দিকে করে আকাশের দিকে মুখ করে থাকে, চলনে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। ০.১ মিগ্রা ভিটামিন বি১ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান (চাউলের কুড়া, গমের গুঁড়া, শাক সবজি)
      ভিটামিন বি২ ছানার পা পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়। পরে নখ বা আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যায়। ছানার দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ০.১২ মিগ্র ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (সবুজ শাক সবজি, ছোলা, খৈল, আলফা-আলফা, ঈষ্ট)
      ভিটামিন বি৬ ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়। ছানার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। প্যারালাইসিস ও পেরোসিস হতে পারে। ০.১২ মিগ্রা ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (শস্য, মাছের গুঁড়া, আলফা-আলফা, ঈষ্ট ইত্যাদি)
      ভিটামিন বি১২ বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ডিমের উর্বরতা হ্রাস পায়। ০.২৪ মিগ্রা ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান (যকৃত, মাংস ফিসমিল ইত্যাদি)
      ফলিক এসিড রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও পালক কম গজায়। ০.০১৪ মিগ্রা ফলিক এসিড সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও সাথে ম্যানগানিজ (সহ) প্রদান করতে হবে। ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান (যকৃত, ঈষ্ট)
      ম্যানটোথেনিক এসিড বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও চর্ম রোগ হয়। পা ও চোখের চারিপাশে নেক্রোসিস হয়। ডিমের উর্বরতা হ্রাস। ০.৩৬ মিগ্রা প্যানটোথেনিক এসিড সমৃদ্ধ ভিটামিন প্রদান (চীনাবাদাম, আখের গুড়, ঈষ্ট, চাউলের কুড়া, গমের ভূষি ইত্যাদি)
      বায়োটিন পেরোসিস, ডিমের উর্বরতা হ্রাস ও চর্ম প্রদাহ দেখা দেয়। ০.০০২ মিগ্রা বায়োটিন সমৃদ্ধ ভিটামিন ও খাদ্য প্রদান।
      খনিজ পদার্থ (সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, ম্যানগানিজ, কপার এন্ড কোবাল্ট, আয়রন হাড় গঠন ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ডিমের খোসা নরম হয়। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। পেরোসিস ও প্যারালাইসিস হয়। —– পাখিকে নিয়মিত ভিটামিন, খনিজ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও খাদ্য প্রদান করতে হবে।



      এমাইনো এসিড

      আমিষ বিভিন্ন প্রকার এমাইনো এসিড সরবরাহ করে যা দেহ গঠনের জন্য অত্যাবশ্যক। যে সব এমাইনো এসিড পাখির দেহে সংশ্লেষণ হয় না তাকে অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড বলে। সুতরাং পাখিকে এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য (শুটকি মাছের গুড়া, সরিষা, তিল ও চীনাবাদামের খৈল) সরবরাহ করতে হবে।


      অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিডের নাম
      মথিওনিন
      লাইসিন
      ভ্যালিন
      লউসি
      আইসো-লিউসিন
      ফিনাইল অ্যালানিন
      ট্রিপটোফেন
      আরজিন
      হিসটিডিন
      ফ্রিওনিন
      প্রতিদিনের প্রয়োজন
      ০.০৯ গ্রাম
      ০.১৮ গ্রাম
      ০.০৬ গ্রাম
      ০.০৯ গ্রাম
      ০.০৫৫ গ্রাম
      ০.০৯ গ্রাম
      ০.০২ গ্রাম



      উপসংহার
      কবুতরের সাধারণত মুরগির থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এক জোড়া কবুতরের গড় উৎপাদন ক্ষমতা ৫-১২ বছর অথচ সেখানে মুরগির মাত্রা ১-১২ বছর হয়ে থাকে।
      এ সমস্ত দিক বিবেচনা করে এটা সহজেই বলা যায় যে কবুতর পালন একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। মুরগির ন্যায় যদি কবুতরকে পারিবারিকভিত্তিতে ব্যাপকভাবে পালন করা যায় তাহলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অনেক বেশি সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়। অবশ্য এই উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চালানোর প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া বিশেষ প্রয়োজন।

      Saturday, January 20, 2018

      Bangladeshi Pigeon (বাংলাদেশি কবুতর)

      Pigeon of Bangladesh

      আমাদের বাংলাদেশে পাওয়া যায় প্রধানত ৩ ধরনের কবুতরঃ

      ১। ঘোলা কবুতর।

      ঘোলা কবুতর।
      ঘোলা কবুতর।


      আমাদের দেশের গ্রাম বা শহরে বেশির ভাগ মানুষ এই প্রজাতির কবুতর পালন করে থাকেন। কারন এই প্রজাতির কবুতর আমাদের দেশে জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারে।

      কেন আমরা ঘোলা পালন করবো??


      • ঘোলা কবুতর আমাদের দেশি কবুতর।
      • তুলনা মূলক ভাবে এর দাম অনেক কম।
      • এরা আমাদের পরিবেশ ও জলবায়ুর সাথে তাল মিলিতে সক্ষম।
      • এদের রোগ বালাই কম হয়।
      • এরা অন্যান্য কবুতর থেকে দ্রুত সময় বাচ্চা উৎপাদনে সক্ষম। 
      • ঘোলা কবুতরের শরিরে গোস্তের পরিমান বেশি।

      ২। গিরিবাজ কবুতরঃ 

      গিরিবাজ কবুতর
      গিরিবাজ কবুতর



      গিরিবাজ আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কবুতর। এই কবুতর গুলো দেখতে সুন্দর হয় আর এদের আকাশে উড়ার সক্ষমতা অনেক বেশি। অনেক বেশি সময় ধরে গিরিবাজ আকাশে উরতে পারে। 


      গিরিবাজ পালনের লাভ সমুহঃ


      • গিরিবাজ এদেশের কবুতর তাই দেশি কবুতর বলে ফেন্সি কবুতিরের থেকে দাম কম।
      • বাসা চিনার ক্ষমতা বেশি।
      • সর্বচ্চ্য ৮ ঘণ্টা উড়তে পারে।
      • ফেন্সি কবুতরের তুলনায় এদের ডিম নষ্ট কম হয়।
      • তাই এদের বাচ্চাও বেশি হয়।
      • ঘোলার তুলনায় এরা কম গোস্তের অধিকারি।
      • এরা যে কোন খাবারে অভ্যস্ত।

      ৩। জালালি কবুতরঃ




      জালালি কবুতর সাধারত বন্য কবুতর। এই প্রজাতির কবুতর খামার অথবা বাসায় পালা হয় না। অনেকের মুখে শুনা যায় যে এই কবুতর নাকি হজরত শাহ জালাল (রঃ) তার জীবৎকালে পালন করতেন। এই প্রকারের কবুতরের প্রতি মানুষের ভিন্ন ধরনের আবেগ ও সম্মান কাজ করে।

      কবুতর পালন ও আধুনিক কৃষি

      কবুতর পালন ও  আধুনিক কৃষি  kobutor palon কৃষি নয়, আধুনিক কৃষি এই ব্রত নিয়ে আমাদের যাত্রা। আর কৃষি বিপ্লের জন্য চাই পর্যাপ্ত ...